বৃক্ষ রোপন
------------তুই আমার----------
------------পর্ব-২২----------
#nikhoj_bhalobasha
আমি সিড়ি দিয়ে নামছি তখনই দেখলাম বাবাই মামনি নিশু জাহিদ ভাইয়া তূর্য এবং সাথে অন্যজন। পিছনে থেকে একটু পরিচিত লাগছে কিন্তু বুজে উঠতে পারছি না কে....!!!সামনে তাকাতেই আমি অবাক।একি উনি এখানে...!!!!
একি আপনি......!!!!!! এখানে কি করছেন....???
আমার প্রশ্ন করাতে বাড়ির সবার নজর এখন আমার দিকে... তখনই সেই ব্যক্তিটি বলে উঠলো....
---হেই মায়াপরী তুমি...!!! এখানে কি করছো.....????
ঐ বেটার নামটা যেন কি.... ফায়জুর রহমান খান নবীন না.. এই বেটা ভাইঙা খান খান হইয়া আমারে মায়াপরী কেন ডাকে এই বেটা তোর কপালে যে কি আছে আজকে কে যানে.... সূর্য থুক্কু তূর্য এমনিতেই খেইপা আছে আবার তোর মায়াপরী ডাক... তোর উপর দিয়া নিশ্চয়ই আজকে ঘূর্ণিঝড় আইলা যাইবো দেখিসসস যদি বাচতে চাস ঐ সূর্যর হাত থেইক্কা তাইলে ভাগ চান্দু.... এসব ভাবছি তখনই তূর্য বলে উঠল....
তূর্য : নবীন...!!! তুই মায়াবতী কে মায়াপরী কেন ডাকছিস.... আর তুই ওকে কিভাবে চিনিস...????
নিশু : ভাইয়া উনিই তো সেই ব্যক্তি যে মেহু কে বাচিয়েছিলল এক্সিডেন্ট এর হাত থেকে...... ভুলে গেলেন....
তূর্য : নবীন কে জড়িয়ে ধরে বললাম থেংকস রে.. তুই আমার জীবন বাচিয়েছিস....!! সেইদিন যদি ওর কিছু হতো তাহলে হয়তো আমি বেচে থাকতে পারতাম না।ওই যে আমার হার্টবিট... মানুষের হার্ট যখন রেসপন্স করা বন্ধ করে তখন যেমন একটা মানুষ বাচতে পারে।মায়াবতী ঠিক তেমন আমার জন্য ওর জন্যই হয়তো আমি এখনো ভালো আছি.... তোকে আবারো ধন্যবাদ আমার জীবনটাকে বাচানোর জন্য...
দেখেছিসস তোর সাথে তো পরিচয় করাতেই ভুলে গেছি...
Meet my life my better half Arisha Ayat Mehek.....
আর মায়াবতী ওও আমার ছোটবেলার বন্ধু এতদিন বাহিরে ছিল। কিছুদিন হলো এসেছে..
এই বলেই উনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন... আর আমার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নবীন... এই চাহনির মানেটা বুঝতে পারছি না কিন্তু উনার চোখে স্পষ্ট রাগ দেখেছি আমি...... নিজের কাউকে অন্য কারোর হতে দেখতে যেরকম রাগ হয় ঠিক সেরকম রাগ... রাগে উনার চোখ দুটো লাল হয়ে আছে..
আমার কাছে মনে হলো আমাকে তূর্যর সাথে উনি সহ্য করতে পারছে না কিন্তু কেন......???? এরকম শান্ত দৃষ্টিতে কেন তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে....???? শান্ত থাকা ভালো কিন্তু এরকম শান্ত প্রকৃতি তখনই হয় যখন একটা ঝড় আসে... সেই ঝড়টা এতটাই প্রবল হয় যে সবকিছু ধবংস করে দেয়....
উনি আমাকে অনেকদিন আগে থেকেই চিনে এবং আমাকে ফলো করেছে কিন্তু কেন করেছে সেটা জানি না.....আর যদি এই বিষয় টা তূর্য জানতে পারে তাহলে কি হবে আমি জানি না.....
আমি এসব ভাবছিলাম তখনই নবীন বলে উঠলো......
নবীন : তূর্য ইয়ারর..... আমাকে এখনই যেতে হবে রে। একটা জরুরি মিটিং আছে। আই হেব টু গো.....
তূর্য : ওকে যেহুতু মিটিং টা জরুরি তাহলে তোকে ছাড়ছি..... কিন্তু তোকে আবার আসতে হবে... কথা দে আমাকে....!!!!
নবীন : ওকে কথা দিচ্ছি আসবো... এবার আমার সত্যিই লেট হচ্ছে... বাই এভিরওয়াননন....
এই বলেই উনি বেরিয়ে গেলেনন... আর তখনই তূর্য বললো....
তূর্য : জানো মায়াবতী.... সেই ছোট থেকে ওও আমার ভিষন ভালো বন্ধু.. আমার এই রাগি স্বভাবের জন্য কেউ মিশতো না কিন্তু ওও আমার সাথে মিশতো.. আর অবাক করা বিষয় কি জানো...?? আমার যেই জিনিস পচ্ছন্দ হয় ওর ও একি জিনিস পচ্ছন্দ হয়। কিন্তু ওও পড়াশোনার জন্য বাহিরে চলে যাওয়ায় তেমন যোগাযোগ হয়নি। একটা বিষয় কিন্তু ভালো হয়েছে জানো.... যদি ও এখানে থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই তোমাকেও ওর ভালো লাগতো... হয়তো তোমাকে আমার করে পেতাম না.... আ'ম লাকি... এই বিষয়ে...
আমি আর এই বিষয়ে কিছু বললাম না নিশু এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো.... আমি ওকে বললাম,,,,,,
এই বজ্জাত মেয়ে এই আমার গায়ের উপর থেকে সররর..... তোর পাতানো ভাইয়ের কাছে যা.... আরেকবার যদি আমার ধারে কাছে আসার চেষ্টা করিসসস তাহলে এক লাথি মেরে সোজা উগান্ডায় পাঠিয়ে দিবব.... বুঝেছিসস.....??? এইবার নিশুর চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেচারি ভিষন কষ্ট পেয়েছে এখনই কেঁদে দিবে....
নিশু : সরিইই জানু ট্রাস্ট মি আর কখনো কারো সাপোর্ট এ কথা বলবো না.... আর তূর্য ভাইয়া কে তো আমি চিনিই না... আজকেই প্রথম দেখলাম... আর রাগ করিস না জানু এই দেখ কানে ধরেছি.....
এইবার নিশুর অবস্থা দেখে আমি হু হা করে হেসে দিলাম...... সবাই যে অবাক তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে.. সেসব পাওা না দিয়ে নিশুকে বললাম...
এইবারের মতো মাফ করলা... আর কখনো যাতে না দেখি আমার বেস্টু হয়ে অন্যকে সাপোর্ট করেছিস বিশেষ করে এই সূর্য থুক্কু তূর্য টার... বুঝেছিসসস..... নিশু এসে আমাকে এসে একটা টাইট হাগগ করলো... আমিও ওকে জড়িয়ে ধরলাম...
°°°°°°°°এইদিকে°°°°°°°°
এইদিকে নবীন রুমে এসেই সব ভেঙে ফেলেছে... নবীনের বাবা মা কাছে যাওয়ার সাহস টা অব্দি পাচ্ছে না... কারন তারা খুব ভালো করেই জানে যে এখন কাছে যাওয়া মানে হিতে বিপরীত হওয়া....সব ভেঙে এখন একদম শান্ত হয়ে বসে আছে....
উঠে দাড়িয়েই কাছের ফ্লাওয়ার ভাস টা আছাড় মেরে ভেঙে বললো....
মায়াপরী তোমাকে তো আমার হতেই হবে..... যদি তোমার দশটা বিয়েও হয় তবুও তোমাকে বিয়ে করবো....
I want you... at any cost.....এই বলেই বাকা হাসলো..
নবীন : কাজটা যত দ্রুত সম্ভব করে ফেলো..(কাউকে ফোন করে)... এই বলেই ফোন কেটে দিলো....
মায়াপরী তুমি আমার শুধুই আমার.... তোমাকে আমার হতেই হবে.... এই বলেই উন্মাদের মতো হাসতে লাগলো.....
নবীন : মায়াপরী তুমি শুধু আমার। তুমি আমার ভালোবাসার প্রথম উষ্ণ আবেগ।প্রথম প্রেম আমার জীবনের এটাকে তো আমি কিছুতেই হারাতে পারবো না। সেই প্রথম দিনই তো তোমার প্রেমে পরে গেছি আমি তোমার সেই চণ্চলতা আমার সাথে করা দুষ্টুমি মাখানো কথা আমার মন কেড়েছে.... আমি যে তোমার মায়ায় পড়ে গেছি মায়াপরী। আমার জীবনে যে তোমাকে বড্ড প্রয়োজন। আমার প্রথম অনূভুতি তুমি। তোমাকে তো আমার হতেই হবে....!!!
বেশকিছুদিন পরে.....
আজকে আমাদের রেজাল্ট দিবে।সেই কখন থেকে ঘরের মধ্যে পায়চারি করছি আর নখ কাটছি...
সূর্য মামা আগেই বলে দিয়েছে রেজাল্ট নিয়ে যাতে টেনশন না করি। গতকাল থেকে কিছুই খেতে পারছি না দরুন টেনশনের ঠেলায়। তখনই আমার নিশুপাখি ফোন দিলল.....
নিশু : জানু...... এ্য এ্য এ্য........
আমি অবাক হয়ে গেছি ওর কি হলো.....??মেয়েটা তো কখনো এমন করে না তাহলে হঠাৎ করে কাদছে কেন...??? রেজাল্টের জন্য তো কখনো ওও এমন ডেস্পারেট হয় না তবে...?? নিশ্চয়ই সিরিয়াস কিছু হয়েছে..!!!
নিশু বাবু কাদছিস কেন...???? কি হয়েছে বলল আমাকে..??? কেউ কিছু বলেছে....???
কিন্তু নিশু যা বললো তাতে আমার ইচ্ছে করছে একটা থাপ্পর মারি.... এরকম একটা বিষয় নিয়ে কেউ এমন করে....?? আরেকটুর জন্য তো আমি হার্ট এ্যাটাক করতাম.....
নিশু : জানু আমার কপাললল টা কি খারাপ জানিসসস....
এমনি তেই রেজাল্টের জন্য টেনশন হচ্ছিলো কিছুতেই রিলেক্স হতে পারছিলাম না..... তুই তো জানিসসস যে আমার রিলেক্স হতে একমাত্র ঔষধ হচ্ছে চকোলেট আর আইসক্রিম কিন্তু ঘরে ছিল না রাত প্রায় দশটা... বাবার শরীর খারাপ তাই ঐ বেটা লুচু জাহিদ কে বলেছি একটু চকোলেট আর আইসক্রিম এনে দিতে। আর বেটা শয়তান রাজি হয়ে গিয়েছিল... আমি খুশি মনে ওয়েট করছি বেলকনিতে.... একটু পরেই ঐ লুচু জাহিদ পাইপ বেয়ে বেলকনিতে হাজির ... আমি চকোলেট চাইছি অমনি টাসসস করে আমার দুইগালে চুমু দিয়ে বলে এটাই নাকি আমার রিলেক্স হওয়ার ঔষধ আমার কি হবে জানুউউউ.....
এখন তো আমাকে বিয়ে করবে না... তারপরেও আমার চকোলেট দেই নি.... এই ছেলের কপালে বউ জুটবে না দেখিস তুই জানু আমার চকোলেট অভিশাপ দিলাম ঐ লুচু জাহিদ রে.... এ্যা এ্যা এ্যা..... অামার চকোলেট.....
মানে মেজাজ এমন খারাপ হচ্ছে আর কি বলবো.... এই মেয়ে চকোলেট এর জন্য এমন করছে লাইক সিরিয়াসলি....??? এই বাদর মেয়ে এই এক চড়ে সবব দাঁত ফেলে দিব.... রেজাল্টের টেনশনে আমার অবস্থা খারাপ... আর তুই চকোলেট এর জন্য এমন করছিসসহ..... এই মেয়ে এই তোকে সামন পেলে এখন কি করতাম তা আমি জানি না.... আর জাহিদ ভাইয়া কে একটা বিগ থেংকস দিতে হবে যে এই জন্য তোর মতো চকোলেট পাগলিকে শিক্ষা দিয়েছে.... ফোনন রাখ....
এই বলেই কেটে দিলাম... আমি..
ঠিক তখনই কেউ একজন আমাকে পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ঘারে নাক ঘষছে... আমি জমে যাচ্ছি... সেইরাতের পর থেকে তূর্য তার কথা রেখেছে... স্বামীর অধিকার চাই নি কখনো আমাকে সময় দিয়েছে.......
কিন্তু তার এই ছোট ছোট রোমান্স যে আমার জন্য কতটা মারাত্মক সেটা কে উনি বুঝতে পারে না...?? অদ্ভুত এক শিহরন খেলে যায় আমার শরীরে।আজকাল বড্ড বেশি ওকে মিস করি কিন্তু কেন করি সেটা জানি না।উনি আমার আশেপাশে থাকলে মনে এক অদ্ভুত আনন্দ হয়। কই আগে তো এমন কখনো হই নি...??? ... এই যে আমার মনে তার জন্য এমন ফিলিংস এটার কি নাম দিব আমি.....??? ভালোবাসা....??? এসব ভাবছি তখনই উনি বলে উঠলো......
তূর্য : মায়াবতী কি এত ভাবছো রেজাল্ট তো আউট হয়ে গেছে...!! তোমার রেজাল্ট টা জানবে না...??
এইবার আমার হাত পা কাপাকাপি করছে।আমার মাথা ঘুরছে নিশ্চয়ই যেমন রেজাল্ট করার কথা ওমন টা করতে পারি নি...!!! এখন আমার স্বপ্নের কি হবে....??? কাঁপানো গলায় প্রশ্ন করলাম কেমন হয়েছে রেজাল্ট....???
তূর্য : আরে বোকা মেয়ে তোমার কি নিজের উপরে ভরসা নেই...??? তুমি GPA 5 পেয়েছ.... টেনশন করতে মানা করেছিলাম না বলেছিলাম ভালো হবে রেজাল্ট। কিন্তু কে শোনে কার কথা... নাও এইবার হাসো....
আমি খুশির ঠেলায় ওকে জড়িয়ে ধরলাম.... উনি আমার এমন কাজে পুরো বোকা বনে গেছে যে এটা বুঝতে পারছি... আমার হুস আসতেই উনাকে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাড়ালাম বললাম সরি...Prrbook
Upworkmarket
postmaster
topguru
monstarpublic
usamarking
powerbank
cutly
Redifiv
bookstar
link Youtubbook
tumblrro
Postmind
Probook
SocialMarking
Prrmarsub
Hastagcode
Wortweb
wwwsmbook
quora-answer
curred-add
wordpress-wo
classifiedsa
Top-Backlinks
Aliexpress
Twin-M
F-s-a-m-f
Gabsocialm
Temp Mail
আসলে এক্সাইটমেন্টের জন্য এমন টা করেছি....
তখনই রুমে বাবা মামনি এসে আমকে জড়িয়ে ধরলো আর উনারাও অনেক খুশি... মামনি তো উনার হাতের একটা বালা আমাকে পড়িয়ে দিলেন কতক্ষন বাদে চলে গেলেন... রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরেছে সবাই আর এইযে ইনি আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে শুয়ে আছে.... এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছে যেন হাত ছুটে গেলেই আমি দৌড়ে পালিয়ে যাবব... কিছুতেই ঘুম আসছে না আমার... আমারও নিশুর মতো আইসক্রিমের ভূত মাথায় চেপেছে এখন ঘুমন্ত ঢাকা শহরের মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়ার মজাই আলাদা.... তাই উনাকে ডেকে তুললাম... দুটো ডাক দিতেই উনি হকচকিয়ে উঠে বললেন....
তূর্য : কি হয়েছে মায়াবতী...??? শরীর খারাপ লাগছে দারাও এখুনি ডক্টর কে কলল করছি...
আরে ধুরররর মিয়া রাখেন আপনার ডক্টর। আমি আইসক্রিম খাবো আর সেটা এখুনি... চলুননন তো চলুননন
তূর্য : ওর কথায় আমার মাথা ঘুরছে এতরাতে আইসক্রিম....??? ওকে তুমি বসো আমি নিয়ে আসছি....
আপনি আনবেন কেনন আজববব আমরা এখন বেরোবো আর রাস্তার পাশের দোকান থেকে হবে চলুন। আর যদি না নিয়ে যান তাহলে কালকেই বাপের বাড়ি চলে যাবব আর আসবো না হু... নাউ চয়েজ ইজ ইউরস....
তূর্য : ব্লেকম্যাল করছো মায়াবতী...?? ওকে চলো আজকে আমরা ঘুরবো....
আমি আইসক্রিম খাচ্ছি মনের আনন্দে আর উনার একটা হাত জড়িয়ে রেখেছি... আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে...
ঐ শুনেন আপনি আমার আইসক্রিমের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন...??? আরেকটা কিনে আনুন... উনি কিছু বলবে তার আগেই একজনকে দেখে আমি অবাক... তাই বললাম
একি আপনি এত রাতে এখানে..
-------------(((বিরতি)))-------------
Comments
Post a Comment